উপাচার্যের আশ্বাসে চবির ৯ শিক্ষার্থীর অনশন ভাঙল

প্রথম প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫ সময়ঃ ৬:৪৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:৪৬ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতারের আশ্বাসে অবশেষে আমরণ অনশন ভেঙেছেন ৯ শিক্ষার্থী। প্রায় ৫২ ঘণ্টা ধরে চলা এ কর্মসূচি শেষ হয় শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে। রোববার বিকেলে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে বৈঠক করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর তাঁরা অনশন ভাঙেন।

গত বুধবার দুপুর ১২টায় ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের সঙ্গে পরে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের ধ্রুব বড়ুয়া, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জশদ জাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক রাম্রা সাইন মারমা, রাজনৈতিক শিক্ষা সম্পাদক আহমেদ মুগ্ধ, দপ্তর সম্পাদক নাইম শাহজাহান, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিকদার, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের ঈশা দে এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সুদর্শন চাকমা।

শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি তুলেছিলেন। এর মধ্যে প্রধান ছিল প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ। অন্য দাবিগুলোর মধ্যে ছিল—গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহতদের উন্নত চিকিৎসার নিশ্চয়তা, নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা, হামলার ভিডিও প্রকাশকারীদের নিরাপত্তা, প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন।

অনশন ভাঙার সময় উপাচার্যের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সহ–উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, ছাত্র উপদেষ্টা মো. আনোয়ার হোসেন ও সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ। উপাচার্য বলেন, “আমরা রোববার শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে বৈঠক করব। আমাদের পক্ষ থেকে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি থাকবে না।”

গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া জানান, প্রশাসনের আশ্বাসে তাঁরা আপাতত অনশন কর্মসূচি শেষ করেছেন। তবে রোববারের বৈঠকে দাবিগুলো পূরণ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. আবুল কাশেম জানান, ৫২ ঘণ্টা অনশনের পর শিক্ষার্থীদের পানিজাতীয় খাবার দিয়ে সেবা শুরু হয়েছে এবং তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট ক্যাম্পাসে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ দাবি ওঠে।

এদিকে অনশনের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, নগরের প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে অংশ নেয় চট্টগ্রাম শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত

20G